৪ ওভারে ১৫টিই ডট বল। উইকেট না পেয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওই ডটবলগুলোই বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় করতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। মোস্তাফিজের এই স্পেল এখন বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির নিউজে মুস্তাফিজের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়, মোস্তাফিজের কাটার ও স্লো ডেলিভারির কারণেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যনরা বিভ্রান্ত হয়েছেন। মূলত তার বোলিং ইকোনোমির কারণে ম্যাচটি জিতেছে বাংলাদেশ
ইএসপিএন ক্রিকইনফো টুইটবার্তায় মোস্তাফিজের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে লিখেছে, কোনো উইকেট না নিয়েও একটি ম্যাচে কীভাবে মাস্টারক্লাস হতে হয় তার উদাহরণ মুস্তাফিজ। ১৯তম ওভারই মূলত বাংলাদেশকে জিতিয়েছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ দলের জয়ের রিপোর্টে লিখেছে, ম্যাচের চুম্বক ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে চূড়ান্তভাবে হারের দিকে ঠেলে দিয়েছে মোস্তাফিজ।
ক্রিকবাজ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, আগের ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ওভারে তাদের দরকার ছিল ২৩ রান। ঠিক ওই সন্ধিক্ষণে এসে মোস্তাফিজ অস্ট্রেলিয়ানদের পুরোপুরি বিভ্রান্ত করে অসহায় করে দেন।
প্রসঙ্গত, মাহমুদউল্লাহর অনবদ্য ব্যাটের পর মোস্তাফিজের কাটার ও স্লো ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে ১০ রানে হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১০ রানের জয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ।